Skip to content Skip to sidebar Skip to footer

মৌলিক তথ্য

সংক্রমন ছড়ানো রোধ করতে ৩ টি গুরুত্তপূর্ন বিষয় এড়িয়ে যেতে হবে

    1. বদ্ধ স্থান যেখানে বায়ু চলাচলের পথ কম
    2. জনাকীর্ন স্থান যেখানে মানুষের সংখ্যা বেশি
    3. নিকটবর্তি বা খুব কাছাকাছি অবস্থানে কথোপকথোন

এই ৩টি বিষয় এড়িয়ে না গেলে সংক্রমনের ঝুকি অত্যন্ত উচ্চমাত্রায় পৌছে।

“নতুন প্রাত্যহিক জীবন” সংক্রমন প্রতিরোধের জন্য

    1. মাস্ক পরিধান এবং হাত ধোয়া।
    2. উপোরক্ত ৩টি বিষয় এড়িয়ে চলা।
    3. সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা।
    4. কাশি দেয়ার শিষ্টাচার মেনে চলা।

※কাশি দেয়ার শিষ্টাচার : মাস্ক ব্যাবহার করুন অথবা নাক এবং মুখ ঢেকে রাখুন টিস্যু দিয়ে যদি হঠাৎ করে হাঁচি অথবা কাশি আসে তবে সেক্ষেত্রে কনুই ব্যাবহার করে নাক মুখ ঢাকুন অথবা আপনার জ্যাকেট ব্যাবহার করুন। অন্য মানুষের থেকে যত টা সম্ভব দূরে থাকুন।

【বিস্তারিত তথ্যের জন্য】

অতিরিক্ত তথ্য

যদি আপনার পরিবার নিয়ে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সন্দেহে থাকেন তবে নিমোক্ত ৮ টি বিষয়ে গুরুত্ব দিন।

    1. আক্রান্ত ব্যাক্তির রুম এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের রুম আলাদা হবে।
      সংক্রমিত ব্যাক্তি যেন রুম থেকে বাহিরে না যায় এবং অন্য দ্বিতীয় কোন ব্যাক্তির সংস্পর্শে না আসে এটা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ন। সংক্রমিত ব্যাক্তির কাজ সীমাবদ্ধ হবে, একত্রে মেলার স্থান নুন্যতম হবে এবং পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল থাকতে হবে।
      এছাড়াও আলাদাভাবে আহার গ্রহণ এবং ঘুমানো উত্তম।
      ※যদি আলাদা রুমে রাখা সম্ভব না হয় তবে রুমের মাঝে পর্দা দিয়ে আলাদা করে রাখাও অনেক কার্যকরি এবং একে অপরের থেকে অন্তত ২ মিটার দূরত্ব বজায় রাখা।
    2. সংক্রমিত রোগীর দেখাশোনা করার মানুষের সংখ্যা যত কম রাখা সম্ভব রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে
      যার দীর্ঘস্থায়ী রোগ বিশেষ করে ডায়াবেটিস, শিশু এবং অন্তঃসত্তা মহিলা এদের দেখাশোনা করার দায়িত্ব দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
    3. ঘরের সবাই মাস্ক ব্যাবহার করবে, ঘরের ভেতরে অবস্থানরত থাকলেও।
      সংক্রমন রোধ করতে শুধুমাত্র সংক্রমিত ব্যাক্তিই নয় বরং ঘরের সকলেরই মাস্ক ব্যাবহার করা উচিত।
      ※মাস্ক টি মুখ থেকে খোলার সময় সতর্ক থাকবেন যেন মাস্কের পৃষ্ঠতল স্পর্শ না হয়এবং অবশ্যই এর পরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে জীবানুমুক্ত করবেন।
    4. ঘরের সকল সদস্য ঘন ঘন গার্গল করবেন এবং হাত ধুবেন।
    5. দিনের বেলায় ঘরে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল এবং সতেজ বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা করুন। অন্তত প্রতি দুই
      ঘন্টায় একবার সতেজ বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
    6. সর্বজন ব্যবহৃত জিনিস যেমন হাতল, দরজার নব ইত্যাদি জীবানুমুক্ত করুন। ব্যবহৃত স্থানগুলো
      সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট ০.০৫% (টিনযুক্ত ব্লিচ) অথবা এলকোহল দিয়ে জীবানুমুক্ত করতে হবে কারন কোন বস্তুর উপর ভাইরাস বেশ কিছু সময় জীবিত থাকতে পারে।
    7. ময়লা কাপড় সর্বদা ধুয়ে পরিস্কার রাখতে হবে।
    8. ঘরের ময়লা আবর্জনা ভালোভাবে প্যাকেট বন্দি করে ফেলে দিতে হবে।
【বিস্তারিত তথ্যের জন্য】

সংস্পর্শ নিশ্চিতকরন এ্যাপ্লিকেশন (COCOA)

COCOA একটি স্মার্টফোন এ্যাপ যা আপনাকে সক্ষম করে নোটিফিকেশন পেতে যে আপনি কোন কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যাক্তির সংস্পর্শে যাচ্ছেন কিনা অথবা সম্ভবনা আছে কিনা।

সংক্রমণ ছড়ানো রোধে কার্যকর

আপনি খুব দ্রুত সক্ষম হবেন সনাক্ত করতে যে আপনি কোন আক্রান্ত ব্যাক্তির সংস্পর্শে এসেছেন কিনা এবং যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা সাহায্য নিতে পারবেন। এটা সামাজিক দূরত্ব বজায়ের সাথে কোভিড-১৯ ছড়ানো রোধে অত্যন্ত কার্যকরি।

স্বাচ্ছন্দে পরীক্ষা

নতুন এই করোনাভাইরাস, আক্রান্ত ব্যাক্তির লক্ষন প্রকাশের এক দুই দিন আগে থেকেই শরীরে সংক্রমিত হয়ে থাকে। অতএব নিজে এবং অপরকে সুরক্ষিত রাখতে যারা সম্ভাব্য আক্রান্ত ব্যাক্তির সংস্পর্শে গিয়েছে তাদের স্বাচ্ছন্দে পরীক্ষার অধীনে আসা গুরুত্বপূর্ণ।
এই এ্যাপ টি আক্রান্ত ব্যাক্তির স্মার্টফোনে বার্তা পাঠাবে “” বিগত ১৪ দিনে””, “”১ মিটারের মধ্যে”” এবং “”১৫ মিনিট অথবা তার বেশি সময় সান্নিধ্যে”” আপনি খুব দ্রুত শনাক্ত করতে পারবেন আপনি সংস্পর্শে এসেছেন কিনা। এই বার্তার সাথে আরও নিখুতভাবে যোগাযোগ তথ্য পাবেন এবং তার সাথে বিনামুল্যে ডাক্তার পরামর্শ করতে পারবেন।

জাপান সরকার এই এ্যাপ এর মাধ্যমে ব্যাক্তিগত তথ্য ব্যবহার অথবা সংগ্রহ করে না।

এই এ্যাপ টি ব্যাক্তিগত গোপনিয়তার সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেয়। “”ব্যাক্তিগত তথ্য চুরি”” অথবা “”সংস্পর্শে আসা মানেই সাধারন জনগনের কাছে পরিচিতি পাওয়া”” এমন কিছুই নেই এটিতে।
অতএব ব্যাক্তিগত পরিচিতির তথ্য যেমন নাম, ফোন নম্বর, ই-মেইল কোন কিছুই প্রয়োজন নেই। নিকটবর্তি স্মার্টফোনের তথ্য সংগ্রহ করা যাবে না এবং সব তথ্য ১৪ দিন পরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যাবে।

【বিস্তারিত তথ্যের জন্য】

সংক্রমণ রোধের কঠোর ঘোষণা স্টিকার (শুধুমাত্র টোকিও তে)

রেস্টুরেন্ট এবং দোকানগুলো “সংক্রমণ রোধের কঠোর ঘোষণা স্টিকার” নিতে পারবে যার পূর্বে তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে সংক্রমন নিয়ন্ত্রনের সকল প্রকার নির্দেশনা পালন প্রস্তুতি থাকতে হবে। এর ফলে আপনারা সে সব দোকান ব্যবহারে নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন যাদের এই স্টিকার রয়েছে।

【বিস্তারিত তথ্যের জন্য】